চুলের যত্নে ঘরোয়া প্যাক।।
*** সুবাসিনী, সুকেশী, মাধুরী, অন্যনা
এগুলো একজন কেশবতী মেয়ের গুণাবলী। মেয়েরা দেখতে যেমনি হোক না কেনো কালো বা ফর্সা যদি
তার মাথা ভর্তি ঘন কালো চুল থাকে তাকে সবার থেকে আলাদা দেখায়। চুল মেয়েদের কে আলাদা
সৌন্দর্য ও আর্কষণীয় করে তোলে। চুলের যত্নে নামীদামি প্রসাধনী নয়, প্রয়োজন মনোযোগ; আর হাতের কাছে পাওয়া প্রাকৃতিক কিছু উপাদান দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন প্রাকৃতিক কিছু
প্যাক।
- চুল সুন্দর রাখতে প্রথমেই যত্ন নিন স্কাল্প বা মাথার ত্বকের। সপ্তাহে তিন দিন ছয় টেবিল চামচ নারকেল তেল দিয়ে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
- একটি কাচের শিশিতে এক টেবিল চামচ মধু ও চার টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পাঁচ – ছয় ঘণ্টা রেখে দিন। ব্যবহারের আগে আরেকবার ঝাঁকিয়ে নিন। চুলে পাঁচ – দশ মিনিট ম্যাসাজ করে আঁচড়ে নিন। শাওয়ার ক্যাপ পরে র্যাপ করে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু করুন। দেখুন, প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের জাদু।
- ক্যাস্টর অয়েল নিন চার টেবিল চামচ। মাথার তালুতে আলতো হাতে মেখে রেখে দিন ২০ মিনিট। পাতলা চুল ঘন হবে এবং চুল পড়াও কমবে।
- একটি ডিম, এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ঘষে ঘষে মাখুন চুলে। শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে রেখে দিন আধা ঘণ্টার মতো। তারপর শ্যাম্পু করুন। এই প্যাক চুলে কন্ডিশনারের কাজ করবে এবং চুলকে মজবুত করবে।
- শ্যাম্পু করার পর একটি ডিম, এক কাপ টক দই, দুই টেবিল চামচ ত্রিফলা ( আমলকী, হরীতকী, বহেড়া ) গুঁড়ার মিশ্রণ চুলে মেখে রেখে দিন ৩০ মিনিট। এই প্যাক রং করা বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা চুলের প্রোটিন প্যাক হিসেবে কাজ করবে।
- আমলকী পেস্ট দুই টেবিল চামচ, ডিম একটি এবং টক দই আধা কাপ মেখে প্যাক তৈরি করতে পারেন। কন্ডিশনার ও প্রোটিন প্যাক দুটোরই উপকার পাবেন।
- দুই টেবিল চামচ আমলকীর সঙ্গে দুই টেবিল চামচ তিলের তেল ও আধা কাপ টক দই মিশিয়ে নিন। এই প্যাক ব্যবহারে শুষ্ক চুলে আসবে ঝলমলে সতেজতা।
- প্রতিদিন অন্তত একটি আমলকী খাওয়ার চেষ্টা করুন। চুল পড়া কমবে।
- অনেকের মাথায় কিছু অংশের চুল পাতলা হয়ে মাথার ত্বক দেখা যায়। তাঁরা আমলকী বেটে পেস্ট করে তার রস লাগাবেন প্রতিদিন। দুই সপ্তাহ লাগানোর পর ফল পাবেন।
- মাথায় খুশকি থাকলে নারকেল তেলের সাঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন।
- চুলে উকুন একটি সাধারণ সমস্যা। ঘর্মাক্ত ও ভেজা চুলে উকুন দ্রুত বংশ বিস্তার করে। এ ক্ষেত্রে উকুন ধ্বংস করার ওষুধ ব্যবহার করুন। এছাড়া নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন চুলে ব্যবহার করলে উকুন মারা যাবে।
- ফ্যানের বাতাসে চুল শুকানো ভালো। হেয়ার ড্রায়ারের ঠাণ্ডা বাতাসেও চুল শুকাতে পারেন।
- চিরুনি ও ব্রাশ সব সময় আলাদা ও পরিষ্কার রাখুন।
- চুলে অনেক বেশি রাসায়নিক, রং, ড্রায়ার বা আয়রন ব্যবহার না করাই ভালো ।
No comments