ভয়াবহ ও কলঙ্কময় ১৫ ই আগষ্ট এর কর্মসূচি।
আজ ১৫ ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস। বাংলাদেশের
স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকী। দিনটি বাঙালী জাতির ইতিহাসে এক বেদনাক্লিষ্ট ও
কলঙ্কজনক অধ্যায়।
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট কালরাতে ঘাতকরা
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। সেদিনের এই ঘটনা বাঙালী জাতির জন্য কলঙ্ক ও
লজ্জাজনক। এই
ঘটনা গোটা বিশ্বের কাছে বাঙালী জাতির কালিমায়
কলঙ্কের তিলক পড়িয়ে দেয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আজ দেশব্যাপী যথাযথ
মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দিবসটি পালনের উদ্দেশ্যে সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন
কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে :-
১৫ আগষ্ট সরকারি- বেসরকারি ভবন, স্বায় ও শাসিত
প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান সহ বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন সমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
সকাল ৬:৩০ মিনিটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু
স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ
করবেন এবং সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করবেন।
এছাড়াও ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত হবে। পরে
ঢাকার বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের পরিবারের শাহাদত বীণকারী সদস্য ও ১৫ আগষ্ট শাহাদত বরণকারী সকল শহীদের কবরে
পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করবেন।
সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গী পাড়ায়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে প্রধানমন্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ
করবেন। এছাড়া
সেখানে ফাতেহা পাঠ, সশস্র
বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান,
মোনাজাত ও সমাধিস্থলে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা
হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, শিক্ষা, তথ্য, ধর্ম
বিষয়ক, মুক্তিযুদ্ধ
বিষয়ক, মহিলা
ও শিশু বিষয়ক, সমাজ
কল্যাণ, সংস্কৃতি বিষয়ক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য
মন্রণালয় ও বিভাগ, অধিদপ্তর
ও সংস্থা জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সারাদেশে মসজিদসমূহে
বাদ জোহর বিশেষ মোনাজাত, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও
অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনা আনুষ্ঠিত
হবে।
এছাড়াও ১৫ আগষ্ট শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সব
কমিউনিটি ক্লিনিক ও সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৫ আগষ্ট উপলক্ষে
দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবন ও হল সমূহে
জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল
৭ টায় ভিসির বাসভবনে সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ডিন, প্রভোস্ট, ওয়ার্ডেন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের
পরিচালক, শিক্ষক
এ বং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জমায়েত হবেন। সেখান থেকে সাড়ে ৭ টার দিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি
জাদুঘরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধঞ্জলি নিবেদনের
জন্য।
সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক
কেন্দ্র মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা হবে। আলোচনা
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ডিসি অধ্যাপক ড.মো.আখতারুজ্জামান। এছাড়াও সকাল ১০ টায়
চারুকলা অনুষদের উদ্যেগে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও যথাযথ মর্যাদায় জাতীয়
শোক দিবস পালন করা হবে।বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল, আলোচনা
সভা ও জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি
টেলিভিশন ও রেডিও তে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে।
গভীর শ্রদ্ধার সাথে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ ই আগষ্ট
যারা শাহাদত বরণ করছে তাদের আত্তার মাগফেরাত কামনা করছি।
No comments