বিশ্ব কিডনি দিবস।
আজ ১২ ই মার্চ, বিশ্ব কিডনি দিবস। আন্তর্জাতিক কিডনি ফাউন্ডেশন ফেডারেশন এবং আন্তর্জাতিক নেফরোলজি সোসাইটির উদ্যোগে ২০০৬ সালের পর থেকে প্রতি বছর মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার এই দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হচ্ছে। কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করাই এ দিরসের মূল লক্ষ্য। এ বছর বিশ্ব কিডনি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য “সুস্থ কিডনি,সবার জন্য সর্বত্র “।
কিডনি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কিডনি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। কিডনি রোগ নীরব ঘাতক। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বই কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় পাচঁজন কিডনি জনিত রোগে মারা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
বর্তমান বিশ্বে ৮৫০ মিলিয়ন মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর দুই দশমিক চার মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত ও এক দশমিক সাত মিলিয়ন মানুষ আকস্মিক কিডনি রোগে মারা যায়। এর বেশি সংখ্যক মানুষ কিডনি জটিলতায় ভুগলেও খুব কম সংখ্যক মানুষ এ বিষয়ে সচেতন। এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের কিডনি এক সময় বিকল হয়ে যায়। তখন ডায়ালাইসিস বা কিডনি সংযোজন করতে হয়। কিন্তু এই দুইটা চিকিৎসা পদ্ধতিই অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
ভেজাল খাদ্য, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ, ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন ছাড়াও বিভিন্ন কারণে ঘরে ঘরে কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
চিকিৎসকদের মতে, কিডনি সুস্থ রাখতে হলে বেশি বেশি শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে, খাবারে কাঁচা লবণ না খাওয়া ও লবণের পরিমাণ কম দেওয়া, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যাথানাশক ঔষধ না খাওয়া।
No comments