Header Ads

Header ADS

ডেঙ্গু ডেঙ্গু ডেঙ্গু !!! 2019 সালের একটি ভয়ঙ্কর নাম।



                            ডেঙ্গু জ্বর 

এডিস মশা

রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে ।ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার কামড়ে হয় ।ভাইরাসজনিত এ রোগের কারণে দিন দিন মানুষের মনে আশঙ্কা বেড়েই চলেছে ।
ডেঙ্গু জ্বর মূলত এডিস এজিপ্টি (Aedes Aegypti) মশার কামড়ে হয় ।ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে , ৫/৬ দিনের মধ্যে ঐ ব্যক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় ।তখন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কোন রোগীকে ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু বিহীন কোন মশা কামড়ালে ,সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু বহন করে ।এইভাবে ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ে ।
ডেঙ্গু ভাইরাসে চার ধরণের স্ট্রেইন আছে :- ডেন - ,,,৪ । ডেন ১ ও ২ এর কারণে ডেঙ্গু জ্বর হয় । যাদের শরীরে এই স্ট্রেইনের বিপরীতে রোধ - প্রতিরোধ ক্ষমতা কম , তারাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সমূহ :-
                ডেঙ্গু জ্বর বা ব্রেকবোন ফিভার এর প্রধান লক্ষণ হল অতি মাত্রার জ্বর ।১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা জ্বর থাকতে পারে এর বেশিও হতে পারে ।জ্বর একটানা থাকতে পারে অথবা ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে আবার জ্বর আসতে পারে ।মাথা ব্যথা,চোখের পিছনে ব্যথা,পেটে ব্যথা,মাংসপেশী ও হাড়ে ব্যথা,বমি বমি ভাব,শরীরে হামের মত লাল লাল দানা (র্যাশ) দেখা দেওয়া ।এসব লক্ষণ না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে ।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা :-
                 ডেঙ্গু জ্বরের তেমন কোন ঔষধ নেই ।তবে প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে ।একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বচ্চো চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারেন ।কোন ব্যক্তি যদি লিভার,হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরার্মশ নিয়ে প্যারাসিটামল সেবন করতে হবে ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর সাত দিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায় ।জ্বর দ্রুত কমানোর জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর ও মাথা মুছে দিতে হবে রোগীকে বেশি বেশি বিশ্রাম নিতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার ( যেমন - ডাবের পানি,লেবুর শরবত,ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন ) গ্রহণ করতে হবে ।
ডেঙ্গু জ্বরের সময় অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ সেবন করা যাবেনা,এতে রক্তক্ষরণ হতে পারে ।মারান্তক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে নিতে হবে ।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় :-

                           সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে ।এ সময়টিতে এডিস মশার বিস্তার ঘটে ।এডিস মশা সকালে ও সন্ধ্যায় কামড়ায়,এরা অন্ধকারে কামড়ায় না । এডিস মশা সাধারণত স্বচ্ছ পানিতে ডিম পারে ।বাড়ির ভেতর,বাহির,ছাদ এবং আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা অপ্রয়োজনীয় পাত্র ও প্যাকেট সমূহ,অব্যবহৃত গাড়ির টায়ার,নির্মাণকাজে ব্যবহৃত চৌবাচ্চা,পরিত্যক্ত টিনের কৌটা, কাঁচ/প্লাষ্টিকের বোতল/ক্যান,গাছের কোটর,পরিত্যক্ত বা ভাঙ্গা হাড়ি,ডাবের খোসা,বেজমেন্ট,কারপার্কিং,বালতি,ড্রাম,গাছের টব,ফ্রিজ, এবং এয়ার কন্ডিশনারের নীচে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে ।
তাই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে একনাগাড়ে ৩ ( তিন ) দিনের বেশি কোথাও পানি জমে না থাকে ।জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে এবং বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়,আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে ।
দিনে ও রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে ।
" এডিস ডেঙ্গু রোগের একমাত্র বাহক , তাই মশা দমনই ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায় মশা "

No comments

Powered by Blogger.