Header Ads

Header ADS

মাহে রমজান (সিয়াম সাধনার মাস).....।

রমজান


বছর ঘুরে আমাদের মাঝে আবারো আসলো সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। মাহে রমজানে সিয়াম পালন করা প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম নর-নারীর ওপর ফরজ। সিয়াম পালন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আত্মিক উন্নতি ও নৈতিক উৎকর্ষ সাধনে সিয়ামের ভূমিকা অপরিহার্য।
সিয়ামের উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে আত্মিক পরিশুদ্ধি লাভ করা। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআন মাজিদে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন-" হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে,যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর,যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।"- সূরা বাকারা; আয়াত :১৮৩.
সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষের পশু প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে নৈতিকতা ও আত্নিক উন্নতি সাধন করা সম্ভব। সিয়াম পালনের মাধ্যমে অন্তরে আল্লাহভীতি ও আত্মশুদ্ধি হয়। যদি সিয়াম পালনের মাধ্যমে অন্তরে আল্লাহভীতি ও আত্মশুদ্ধি অর্জন না হয় তাহলে তা নিছক উপবাস করা হয়।
মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হলে, মানুষ বিভিন্ন ধরণের পাপ কাজ যেমন  : শোষণ, জুলুম, নির্যাতন, সন্রাস, অন্যের অধিকার হরণ, লোভ -লালসা, অন্যায়, অবিচার, বিভিন্ন ধরণের কুসংস্কার ( ব্যক্তিগত ও সামাজিক ), অহংকার ও দাম্ভিকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবে।
সিয়াম একজন ব্যক্তির আচরণের উপরও প্রভাব ফেলে। মিথ্যা কথা বলা, পরনিন্দা পরচর্চা, ধোঁকা দেয়া, প্রতারণা করা, হিংসা- বিদ্বেষ, অশ্লীলতা, পাপাচার এসব বিভিন্ন কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখে।
এ প্রসঙ্গে রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন -" যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করেও মিথ্যা কথা বলা, পরনিন্দা ও অন্যান্য পাপাচার থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলো না তার পানাহার পরিত্যাগ করা আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। "- সহিহ বুখারি।
সিয়াম মাসের এই চর্চা সারা বছর অণুসরণ করলে একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও পরিচ্ছন্ন সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
নৈতিক অবক্ষয় বর্তমান বিশ্বের প্রধান সমস্যা। মুসলিমদের চারিএিক অধঃপতন থেকে নিজেকে রক্ষা করা উচিত।
আত্মিক উন্নতি ও নৈতিক উৎকর্ষ সাধনই হলো এবারের মাহে রমজানের অঙ্গীকার।
এই সিয়াম সাধনার মাসে সবাই যেন সঠিক ভাবে সিয়াম পালন করতে পারে এবং পরিপূর্ণ আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে পারে মহান আল্লাহ সবাইকে এই তাওফিক দান করুক।""" আমিন"""

No comments

Powered by Blogger.